দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) করোনাকালীন ছুটির পর সবকিছু স্বাভাবিক থাকলেও খোলেনি ক্যাফেটরিয়া। প্রায় দেড় বছরের করোনাকালীন ছুটি শেষে আবারও পুরোদমে চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত কার্যক্রম।
বর্তমানে সব ব্যাচের ক্লাস-পরীক্ষা চলমান থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে বাড়ছে শিক্ষার্থীদের ভিড়। কিন্তু করোনা মহামারির বন্ধের পর এখনো পর্যন্ত চালু হয়নি টিএসসির ক্যাফেটেরিয়া। বিষয়টি নিয়ে আক্ষেপ হাবিপ্রবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার জন্য লিখিত চুক্তি না করে মৌখিকভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ‘দিলশাদ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর একাধিকবার ক্যাফেটেরিয়া চালুর জন্য প্রশাসন থেকে বলা হলেও তা আমলে নেয়নি ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানটি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী দীপ্ত রায় বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে বসার তেমন জায়গা না থাকায় পড়াশোনা ও আড্ডার জন্য আমরা টিএসসিতেই এসে থাকি। এ ছাড়াও ক্লাসের দীর্ঘ বিরতির পর সময় কাটানোর জন্য আমরা টিএসসিতে যাই বন্ধুরা মিলে। কিন্তু বর্তমানে ক্যাফেটেরিয়া বন্ধ থাকায় অনেক সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থেকে খাবার খেতে হয়, যা সময়সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুল।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, ‘রমজান মাস চলে আসলেও ক্যাফেটেরিয়া চালু হয়নি। বিষয়টি আমাদের জন্য খুবই হতাশাজনক।’
হাবিপ্রবির ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক এবং ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনা বিষয়ক কমিটির সদস্য সচিব ইমরান পারভেজ এ বিষয়ে বলেন, ‘কোষাধ্যক্ষ স্যারকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি করে দিয়েছেন উপাচার্য স্যার। আমরা এ বিষয়ে মিটিং করেছি। উপযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনার দায়িত্ব দিতে চাই। আমরা নোটিশ দিয়েছি এবং খোঁজাখুঁজি করছি। আশা করছি, রমজান ও ঈদের ছুটির পর ক্যাম্পাস খুললে শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যাফেটেরিয়া চালু করতে পারবো।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।